Skip to main content

ফজর ও মাগরিবের পর পঠিতব্য ১০টি ফজিলতপূর্ণ আমল ও দোয়া

 ইসলামে প্রতিটি ফরজ নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। নামাজের পর আল্লাহর কাছে দোয়া ও জিকির করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর বিভিন্ন ফজিলতপূর্ণ দোয়া পাঠ করতেন।

বিশেষ করে ফজর ও মাগরিবের নামাজের পরের সময়টুকু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ দুটি সময় দিন ও রাতের সংযোগ স্থাপন করে। হাদিস শরিফে এই দুই ওয়াক্তের পর পঠিতব্য অনেক দোয়া ও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে যা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের অফুরন্ত কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।

এখানে এমন ১০টি পরীক্ষিত ও ফজিলতপূর্ণ আমল উচ্চারণ, অর্থ ও হাদিসের রেফারেন্সসহ উল্লেখ করা হলো।

ফজর ও মাগরিবের পরের ১০টি আমল

১. জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া

করণীয়: ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর কারও সাথে কথা বলার আগে ৭ বার পাঠ করা।

আরবি: اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্ নার।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন।

ফজিলত: হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিবের পর কারও সাথে কথা না বলে এই দোয়াটি সাতবার পাঠ করে এবং ওই দিনে বা রাতে তার মৃত্যু হয়, তাহলে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৭৯)

২. তিন কুল পাঠ (সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস)

করণীয়: ফজর ও মাগরিবের পর প্রত্যেকটি সূরা ৩ বার করে পাঠ করা।

ফজিলত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় (ফজর ও মাগরিবের পর) সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করবে, তা তাকে সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট হবে।" (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৭৫)

৩. আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টির ঘোষণা

করণীয়: ফজর ও মাগরিবের পর ৩ বার পাঠ করা।

আরবি: رَضِيتُ باللهِ رَبَّاً، وَبِالْإِسْلَامِ دِيناً، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيَّاً

উচ্চারণ: রাদিতু বিল্লাহি রাব্বান, ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনান, ওয়া বি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যান।

অর্থ: আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বিন হিসেবে ও মুহাম্মাদ (সা.)-কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।

ফজিলত: আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সন্তুষ্ট করবেন। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৩৮৯)

৪. সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া)

করণীয়: ফজর ও মাগরিবের পর দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে ১ বার পাঠ করা।

আরবি: اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي، إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা, খালাকতানি ওয়া আনা আব্দুকা, ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাতা’তু। আউযু বিকা মিন শাররি মা সানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ বিযাম্বি, ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক, আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমতো আপনার সাথে কৃত প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপর আপনার নিয়ামতের কথা স্বীকার করছি এবং আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয়ই আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।

ফজিলত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "যদি কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সকালে এই ইস্তিগফার পাঠ করে এবং সন্ধ্যার আগে মারা যায়, সে জান্নাতি হবে। আর যদি সন্ধ্যায় পাঠ করে এবং সকালের আগে মারা যায়, তবে সেও জান্নাতি হবে।" (বুখারি, হাদিস: ৬৩০৬)

৫. সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষার দোয়া

করণীয়: ফজর ও মাগরিবের পর ৩ বার পাঠ করা।

আরবি: بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল্লাযি লা ইয়াদুররু মা‘আসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামাই, ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।

অর্থ: আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি, যাঁর নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

ফজিলত: যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় এই দোয়াটি তিনবার পাঠ করবে, কোনো কিছুই তার অনিষ্ট করতে পারবে না। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৩৮৮)

৬. দুশ্চিন্তা, অলসতা ও ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া

করণীয়: সকাল-সন্ধ্যায় (ফজর ও মাগরিবের পর) ৩ বার পাঠ করা।

আরবি: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمّ وَالْحَزَنِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযান, ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখল, ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিদ-দাইনি ওয়া ক্বাহরির রিজাল।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে আশ্রয় চাই, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে আশ্রয় চাই, কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় চাই এবং ঋণের বোঝা ও মানুষের জোর-জবরদস্তি থেকে আশ্রয় চাই।

ফজিলত: আবু উমামা (রা.) নামক একজন সাহাবী ঋণ ও দুশ্চিন্তায় ग्रस्त ছিলেন। রাসূল (সা.) তাকে এই দোয়াটি শিখিয়ে দেন এবং বলেন, "সকাল-সন্ধ্যায় এটি পাঠ করবে।" আবু উমামা (রা.) বলেন, আমি এটি পাঠ করতে লাগলাম, ফলে আল্লাহ আমার সব দুশ্চিন্তা দূর করে দিলেন এবং আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থাও করে দিলেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ১৫৫৫)

৭. অল্প আমলে অধিক সওয়াব লাভের তাসবিহ

করণীয়: ফজরের পর ৩ বার পাঠ করা।

আরবি: سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আদাদা খালকিহি, ওয়া রিদা নাফসিহি, ওয়া যিনাতা আরশিহি, ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।

  • অর্থ: আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি— তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার পরিমাণ, তাঁর সন্তুষ্টির পরিমাণ, তাঁর আরশের ওজন সমপরিমাণ এবং তাঁর বাক্যসমূহের সংখ্যার পরিমাণ।

ফজিলত: এই কালিমাগুলো ফজরের পর ৩ বার পাঠ করলে, সকাল থেকে চাশতের সময় পর্যন্ত নফল ইবাদত করার চেয়েও বেশি সওয়াব অর্জিত হবে। (মুসলিম, হাদিস: ৬৮০৬)

৮. সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ

করণীয়: আউযুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিমি মিনাশ শাইতানির রজিম ৩ বার পড়ে সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত ১ বার পাঠ করা।

আয়াতসমূহ: (সূরা হাশর, আয়াত: ২২-২৪) هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ... থেকে ...وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ পর্যন্ত।

ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় এই আমলটি করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ৭০ হাজার রহমতের ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন, যাঁরা পাঠকারীর জন্য সন্ধ্যা বা সকাল পর্যন্ত রহমতের দোয়া করতে থাকেন। আর ওই দিন বা রাতে সে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে। (তিরমিজি, হাদিস: ২৯২২)

৯. সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ গুনাহ মাফের তাসবিহ

করণীয়: ফজর ও মাগরিবের পর ১০০ বার পাঠ করা।

আরবি: سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি।

অর্থ: আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

ফজিলত: রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক (সকাল-সন্ধ্যায়) ১০০ বার এই তাসবিহটি পাঠ করবে, তার পাপগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমপরিমাণ হয়। (বুখারি, হাদিস: ৬৪০৫)

১০. সব রকম কঠিন রোগ থেকে রক্ষার দোয়া

করণীয়: ফজর ও মাগরিবের পর পাঠ করা।

আরবি: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুযামি, ওয়া মিন সায়্যিইল আসক্বাম।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে শ্বেতরোগ, উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার কঠিন ও দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে আশ্রয় চাই।

Comments

আরও দেখুন

লোহার জাহাজ ভাসে কেন ?

লোহার জাহাজ ভাসে কেন ? যদি বস্তুর ওজন বস্তু দ্বারা অপসারিত তরল পদার্থের ওজনের চেয়ে বেশী হলে বস্তুটি তরলে ডুবে  যাবে এবং বস্তুর ওজনের চেয়ে বস্তু দ্বারা অপসারিত তরল পদার্থের ওজন বেশী হলে বস্তুটি তরলে ভেসে থাকবে। তাহলে লোহার টুকরা পানিতে ভাসবে না কেননা লোহার টুকরা দ্বারা অপসারিত পানির ওজন লোহার টুকরার চেয়ে অনেক কম। লোহার জাহাজের ভিতরটা ফাঁপা বলে জাহাজ যে আয়তনের পানি অপসারণ করে তার ওজন জাহাজের ওজনের চেয়ে বেশী। তাই লোহার জাহাজ পানিতে ভাসে।     

চশমা আবিষ্কার

  ভারতীয় স্থপতি দেবনারায়ণের হাতে বিশ্বের প্রথম চশমা তৈরি হয়। এমনটাই দাবি করছেন ঋষিকুমার আগরওয়াল।  চশমা প্রসঙ্গে আদি শঙ্করাচার্যের লেখা অপরোক্ষানুভুতির ৮১তম শ্লোকে বলা হয়েছে- ‘ঠিক যেমন উপনেত্রের মধ্যে দিয়ে দেখলে সব খুব ছোট বস্তুকে/ বড় দেখা যায়, তেমনি ..’ মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে শুরুর থেকে জেনে নিন- আধুনিক চশমার উদ্ভাবক দেশ হিসেবে সাধারণভাবে ইতালির নাম উচ্চারিত হয়। দূরের জিনিসকে চোখের নাগালে নিয়ে আসার জন্য আতস কাচের ব্যবহার করার নজির দ্বাদশ শতকে ইতালিতে পাওয়া গিয়েছিল। বলা হয়, ১২৮৬ সাল নাগাদ ইতালিরই জিওর্দানো দা পিসা নামে জনৈক ব্যক্তি প্রথমবারের মতো চশমা তৈরি করেন। ১৭২৭ সালে আধুনিক চশমার প্রাথমিক নকশা তৈরি করেন ইতালিরই গিরোলামো সাভোনারোলা। পরবর্তীকালে সাভোনারোলার নকশার সূত্রে চশমা নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয় এবং তা ধীরে ধীরে আধুনিক রূপ পায়। তবে চশমার উদ্ভাবন নিয়ে ইউরোপিয়ানদের এই দাবী কতটা যথার্থ, তা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। কারণ, সমসাময়িক এবং আরও পুরনো কিছু হিন্দু সাহিত্যে চশমার প্রসঙ্গ এর আগেই এসেছে। তাহলে কি চশমার জন্ম ভারতে! ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ অফথ্যালমোলজি’তে ১...

Bhuter Golpo - ভুতের গল্প - অন্ধকার রাত্রি

বয়সে ছোট হোক বা বড়   Bhut   নামটা শোনা মাত্রই আমাদের মনের মধ্যে একটা আলাদা শিহরন বা ভয়ের সৃষ্টি। অথচ মনের মধ্যে শত ভয় থাকা সত্ত্বেও আমরা   Bangla Bhuter Golpo   শুনতে ছাড়তাম না। ছোট বেলায় যেমন দাদু কিংবা ঠাকুমার কাছ থেকে আমরা নানা ধরনের   Vuter Golpo   শুনতাম। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় আমরা সবাই কাজের মধ্যে এত ব্যাস্ত হয়ে গিয়েছি যে কারো কাছে গল্প শোনানোর সময় হয়ে ওঠেনা। তাই আজকে আমার আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি সত্যি কারের ভূতের গল্প। গল্প টিকে ৮ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তারই প্রথম ভাগটি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। আরও   Bengali Love Story   এবং   Funny Jokes in Bengali   পড়ার জন্য আমাদের ব্লগ টিকে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথে থাকুন, আশাকরি গল্পটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। Bangla Vuter Golpo Online Reading | ভয়ঙ্কর ভূতের কাহিনি আজকের গল্প - অন্ধকার রাত্রি পর্ব - প্রথম রায় সাহেব থাকেন কলাবাগানে। অনেকখানি ভেতরের দিকে। দেয়ালঘেরা তিন কামরার একতলা একটা বাড়ি। আশেপাশে ছয়-সাততলা বিশাল বাড়ি ঘর উঠে গেছ...

গাওয়া ঘি কাকে বলে? বাসায় কীভাবে খাঁটি ঘি বানানো যায়?

  খাঁটি ঘি কে গাওয়া ঘি বলে। উপকরনঃ দুধের সর- ৫ কেজি পরিমাণ ঠাণ্ডা পানি- ২.৫ লিটার ঘি তৈরির জন্য যা লাগবে- মাটির পাত্র বা মালশা- ১টি (সর ঘুঁটার জন্য) শিল-পাটা- (সর বাটার জন্য) কাঠের চামচ বা খুন্তি- ১টি (সর ঘুঁটার জন্য) প্রনালিঃ ১. প্রথমে দুধের সর নিয়ে নিন আর দুধের সর বাটার জন্য একটি পরিষ্কার শিল-পাটা নিন। এরপরে দুধের সর অল্প পরিমাণে করে শিল-পাটাতে নিয়ে বাটতে থাকুন। বাটার সময় পানি দেয়া যাবেনা। সরের পরিমাণ যেহেতু বেশি তাই একবারে সবটুকু একসাথে বাটতে যাবেন না। অল্প অল্প করে সর নিয়ে বেটে নিতে হবে। ২. এবার একটি মাটির পাত্র বা মালশা নিয়ে নিন। তাতে বাটা সর থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে কাঠের চামচ বা খুন্তি দিয়ে ঘুটতে থাকুন। এই প্রক্রিয়াটি যত দ্রুত সম্ভব ততো দ্রুত করতে হবে। ৩. ভাল করে ঘুটা হয়ে গেলে সর থেকে ক্রিম তৈরি হবে। এভাবে বাকি সর থেকেই ক্রিম তৈরি করে নিন। ৪. ক্রিম তৈরি হয়ে গেলে এর মধ্যে ঠাণ্ডা পানি দিতে হবে। ক্রিমের পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিতে হবে।পানি দিয়ে ঘুঁটার পরে ক্রিম থেকে সাদা দুধের মত পানি বের হয়ে ক্রিম পরিষ্কার হয়ে ঘন ডো এর মত উপরে ভেসে উঠতে থাকবে। যখন ক্রিমের সবটুকু ডো...

খাসি এবং পাঠার মধ্যে পার্থক্য কি?

খাসি এবং পাঠার মধ্যে পার্থক্য আছে। এরা উভয়ই ছাগলের পুরুষ প্রজাতি তবে জন্মের কিছুদিন পরে যেসব পুরুষ লিঙ্গের ছাগলের অন্ডকোষ কেটে ফেলে দেওয়া হয় সে সব শাবককেই খাসি বলা হয়। ... আর যেসব শাবক পুরুষ ছাগলের এই অপারেশন হয় না তাদেরকেই পাঠা বলা হয়। তবে এরা না থাকলে ছাগলের আর বংশ বিস্তার হত না এবং ছাগল বিলুপ্ত হয়ে যেত। আর এর কারন হল অন্ডকোষ কাটলে এরা প্রজনন অক্ষম হয়, ফলে মনযোগ দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ফলে খাসি মোটাতাজা হয় এবং খাসির মাংস সুস্বাদু হয়। আর যেসব শাবক পুরুষ ছাগলের এই অপারেশন হয় না তাদেরকেই পাঠা বলা হয়। তবে এরা না থাকলে ছাগলের আর বংশ বিস্তার হত না এবং ছাগল বিলুপ্ত হয়ে যেত। পাঠা মূলত লবণের ঘাটতি বা চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নিজের ত্যাগকৃত মূত্র নিজেই পান করে থাকে, অনেক সময় উত্তেজনা বসতও সে এই কাজ করে। আর মাদি ছাগলকে আকর্ষিত করতে পুরুষ ছাগল বা পাঠা এর শরির থেকে একটি ক্যামিকেল "4-ethyloctanal" নিঃসরণ করে যা বাতাসে এসে "4-ethyloctanoic acid" এ পরিণত হয় এবং উৎকট গন্ধ ছড়ায় যা অনেকেরই অপছন্দ। এই গন্ধ পাঠার মাংসেও থাকে যার ফলে পাঠার মাংস তেমন জনপ্রিয় না। মাদী ছাগলও গোশতের খুব ন...