ইসলামে বিয়ের আগে প্রেম করাকে সমর্থন করা হয় না এবং এটিকে জায়েজ মনে করা হয় না। ইসলামে বিয়ের পূর্ববর্তী সম্পর্ক, যা সাধারণত 'প্রেম' নামে পরিচিত, তাকে ফিনা (অনৈতিক সম্পর্ক বা প্রলোভন) সৃষ্টির কারণ হিসেবে দেখা হয়। ইসলাম এমন যেকোনো সম্পর্ককে নিরুৎসাহিত করে যা বিবাহের পবিত্র বন্ধনের বাইরে থাকে এবং যা ব্যভিচার বা অবৈধ যৌনতার দিকে ধাবিত করতে পারে।
ইসলামে নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো 'গায়রে মাহরাম' (যাদের সাথে বিবাহ বৈধ) বিপরীত লিঙ্গের সাথে প্রয়োজন ব্যতীত মেলামেশা বা একাকী হওয়া থেকে বিরত থাকা। প্রেম, যা প্রায়শই অবাধ মেলামেশা, একাকীত্ব এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের দিকে নিয়ে যায়, তা এই ইসলামিক নীতির পরিপন্থী। কুরআন ও হাদিসে বারবার ব্যভিচারের নিকটবর্তী হওয়া থেকেও নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পন্থা।" (সূরা বনী ইসরাঈল, ১৭:৩২)। প্রেম এই নিকৃষ্ট পন্থার একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করতে পারে।
তবে, ইসলাম ভালোবাসার সম্পূর্ণ বিরোধী নয়। বরং, ইসলামে ভালোবাসা ও স্নেহকে সম্মান করা হয়, কিন্তু তা বিবাহের পবিত্র বন্ধনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যদি কোনো পুরুষ বা নারী একে অপরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়, তাহলে শরীয়াহ সম্মত উপায়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে কথাবার্তা বলা যেতে পারে এবং ইসলামী রীতি অনুযায়ী প্রস্তাব পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং ইসলামী নীতিমালার উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত, যেখানে অনৈতিকতার কোনো সুযোগ থাকবে না। এটি "প্রেম" নয়, বরং বিবাহের উদ্দেশ্যে একে অপরের সাথে পরিচিত হওয়ার একটি প্রক্রিয়া।
সুতরাং, ইসলামে বিয়ের আগে অনৈতিক সম্পর্ক (প্রেম) জায়েজ নয়, বরং বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে পবিত্র ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
Comments
Post a Comment