-->

সারা বিশ্বে একই সাথে শুক্রবার হওয়া সম্ভব? তাহলে কেয়ামত কিভাবে সংগঠিত হবে?

সারা বিশ্বে একই সাথে শুক্রবার হওয়া সম্ভব? তাহলে কেয়ামত কিভাবে সংগঠিত হবে?


হাজার বছর ধরে মানুষ শুনে আসছে, কেয়ামত খুব কাছে। কেমন কাছে, যে হাজার বছরেও শেষ হয় না? কেয়ামত হলো ধ্বংস। পৃথিবীর বয়স ৪৫০ কোটি বছর। সেই তুলনায় কয়েক হাজার বছর সামান্য সময়। খুবই কাছে।

কেয়ামত মানে শুধুমাত্র পৃথিবী ধ্বংস নয়। পুরো মহাবিশ্ব ধ্বংস। চাঁদ, তারা, গ্রহ, উপগ্রহ সবই ধ্বংস হবে। চাঁদে শুক্রবার নেই, মঙ্গল গ্রহে শুক্রবার নেই। তাহলে চাঁদে, মঙ্গলগ্রহে কিভাবে শুক্রবার কেয়ামত হবে?

শুক্রবার কেয়ামত কথাটা চাঁদ, তারার, জন্য বলা হয় নি। শুক্রবার বলা হয়েছে আপনার জন্যে। যেদিন কেয়ামত হবে, সেদিন আপনার এলাকার শুক্রবার থাকবে। সারা দুনিয়াতে শুক্রবার দরকার নেই। আপনার শুক্রবার হলেই হবে। সারা দুনিয়ার মানুষও আপনার এলাকায় থাকবে।

কেয়ামত এর আগে, অনেক ধরণের যুদ্ধ, মহামারী, ইত্যাদি হয়ে, মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে। মানুষ আবার মধ্যযুগে ফিরে যাবে। ওই যুগে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা খুবই কম হবে।

  • কেয়ামতের সর্বপ্রথম নিদর্শন - মুহাম্মাদ (স) এর মৃত্যু।
  • কেয়ামতের কয়েকদিন আগের নিদর্শন - পশ্চিম দিকে থেকে সূর্য উদয়।
  • কেয়ামতের সর্বশেষ নিদর্শন - একটি আগুনের ঢেউ, সারা দুনিয়ার মানুষকে তাড়া করে, একটি অঞ্চলে জমা করবে।

কেয়ামতের সময়, সারা বিশ্বের সকল মানুষ একই অঞ্চলে থাকবে। সেই অঞ্চলে শুক্রবার হবে। সারা বিশ্বে শুক্রবার হবার দরকার নেই।

এছাড়া

  • ১০ মহারম কেয়ামত, এর ব্যাপারে জানা গেলো - ওটা সঠিক হাদিস নয়।
  • শুক্রবার কেয়ামত ব্যাপারে জানা গেলো - শুক্রবার কেয়ামত হবে, এটা সঠিক হাদিস। তবে, শুক্রবার সকল প্রানী কেয়ামতের ভয়ে থাকে, এটা সঠিক হাদিস নয়।

তবে, সবচেয়ে সঠিক বর্ননা হলো, কোরআনে কথা - কেয়ামতের সঠিক তারিখ একমাত্র আল্লাহই জানেনে। কেয়ামতের দিন-তারিখ ইত্যাদি ইসলামের মৌলিক কোন বিশ্বাস নয়। তাছাড়া, হাদিসগুলোর ব্যাপারে মতভেদ/সন্দেহ আছে। এজন্য, আমরা শুধুমাত্র একটি বিশ্বাসের উপরে স্থির থাকবো - কেয়ামতের নির্ধারিত সময়, একমাত্র আল্লাহ জানেন (আর কেউ জানে না)।

>